Wellcome to National Portal
মেনু নির্বাচন করুন
Main Comtent Skiped

এলজিইডি’র ইতিহাস

কৃষি নির্ভর অর্থনীতির দেশ বাংলাদেশ। এদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতি অর্জনের ক্ষেত্রে পল্লী উন্নয়ন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। গত শতাব্দির ষাটের দশকের সূচনালগ্নে পল্লী উন্নয়নের জন্য কুমিল্লা মডেলের চারটি কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়, যার মধ্যে ছিল-

১. থানা প্রশিক্ষণ ও উন্নয়ন কেন্দ্র (Thana Training and Development Centre-TTDC)

২. পল্লীপূর্ত কর্মসূচি (Rural Works Programme-RWP)

৩. থানা সেচ কর্মসূচি (Thana Irrigation Programme-TIP) ও

৪. দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় (Two Tier Co-operatives)

 

কুমিল্লা মডেলের অন্তর্ভুক্ত পল্লীপূর্ত কর্মসূচি বাস্তবায়ন ছিল মূলতঃ গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নের মূল ভিত্তি। পরবর্তীতে সত্তরের দশকে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের আওতায় এ কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য একটি সেল গঠন করা হয়, যা ১৯৮২ সালে উন্নয়ন বাজেটের আওতায় ‘ওয়ার্কস প্রোগ্রাম উইং’ এ রুপান্তরিত হয়। ১৯৮৪ সালের অক্টোবরে ওয়ার্কস প্রোগ্রাম উইং রাজস্ব বাজেটের আওতায় স্থানীয় সরকার প্রকৌশল ব্যুরো (এলজিইবি) রূপে পুনর্গঠিত হয়। ১৯৯২ সালের আগস্ট মাসে এলজিইবিকে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) হিসেবে উন্নীত করা হয়।

 

কুমিল্লা মডেলের অন্তর্গত চারটি কর্মসূচির মধ্যে দ্বি-স্তর বিশিষ্ট সমবায় কর্মসূচি বাদে অবশিষ্ট তিনটির কাজ বাস্তবায়ন করছে এলজিইডি।  এসব কার্যক্রম- গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়ন, ক্ষুদ্রাকার পানি সম্পদ উন্নয়ন ও নগর উন্নয়ন। এই তিনটি সেক্টরের আওতায় বাস্তবায়ন করা হয়ে থাকে। এলজিইডি একটি বিকেন্দ্রীকৃত প্রতিষ্ঠান, যার জনবলের প্রায় আটানব্বই শতাংশ মাঠ পর্যায়ে কাজ করে।